প্রকাশিত: ২০/০৭/২০১৬ ৪:২৪ পিএম

imagesডেস্ক রিপোর্ট ::

প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছেন তিনি। দিব্যি সংসার পেতেছেন। আপনজনেরা তা জানেন না। অন্যরাও কৌতূহলী—মেয়েটি গেল কোথায়? গুঞ্জন ক্রমে গুজবে রূপ নিল। চাউর হলো, জঙ্গি তৎপরতায় জড়াতে তিনি কাউকে না বলে চলে গেছেন। একপর্যায়ে তা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। শেষে তরুণীকে থানায় গিয়ে প্রমাণ দিতে হলো, তিনি জঙ্গি হতে যাননি, প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছেন।

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার ওই তরুণী স্বামীসহ শ্রীনগর থানায় গিয়ে জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। পুলিশও অভিযোগের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছে।
পুলিশ ও ওই দম্পতি সূত্রে জানা যায়, তরুণীটি শ্রীনগরের একটি কলেজে পড়ছিলেন। তাঁর স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হিসেব কাজের সূত্রে প্রায়ই ওই কলেজে আসতেন। সেই সূত্রে তরুণীর সঙ্গে তাঁর দেখা ও প্রেম। গত ১৯ জুন কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। পরে ঢাকার একটি ভাড়া বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। তরুণীর পরিবার এরই মধ্যে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। দেখতে দেখতে এক মাস পেরিয়ে যায়। তরুণীর কোনো খোঁজ না থাকায় সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার সূত্র ধরে অনেকেরই সন্দেহ হয়, মেয়েটি হয়তো জঙ্গি তৎপরতায় যোগ দিতে পালিয়েছে। গতকাল এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদুর রহমান জানান, মেয়েটির কোনো খোঁজ না পেয়ে ১৯ জুন তাঁর মা শ্রীনগর থানায় একটি জিডি করেন। এই নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনলাইনসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে মেয়েটির টনক নড়ে। সবার ভুল ভাঙাতে গতকাল স্বামীকে নিয়ে থানায় চলে আসেন।
ওসি বলেন, তাঁর বা তাঁর স্বামীর জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁরা দুজন প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। বিয়ে করে তাঁরা ঢাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি বলেন, মেয়েটির পরিবারে সদস্যরা জানান, গণমাধ্যমে তাঁরা এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘ঢাকায় যে বাড়িতে তাঁরা থাকেন, আমরা সেই বাড়ি তল্লাশি করে দেখেছি। জঙ্গি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই মেয়েটির স্বামীকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের চার সহকর্মীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটি পালিয়ে বিয়ে করায় তাঁর বাবা-মা অভিমান করে তাঁকে বাড়িতে নিতে চাইছেন না। এখন তাঁকে নিয়ে বিপাকে পড়েছি। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে আদালতে হাজির করার কথা ভাবছি। আদালতের নির্দেশ অনুসারে আমরা ব্যবস্থা নেব।’  সুত্র : প্রথম আলো

পাঠকের মতামত

আমাদের নিয়ত সহিহ, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলেই নির্বাচন: সিইসি

অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ...

নির্বাচন কমিশন গঠন, নতুন সিইসি কক্সবাজারের সন্তান সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার সন্তান অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ ...